~কাশফুলের কাব্য
~নির্মলেন্দু গুণ
ভেবেছিলাম প্রথম যেদিন
ফুটবে তুমি দেখব,
তোমার পুষ্প-বনের গাঁথা
মনের মতো লেখব।
তখন কালো কাজল মেঘ তো
ব্যস্ত ছিল ছুটতে,
ভেবেছিলাম আরো ক’দিন
যাবে তোমার ফুটতে।
সবে তা এই বর্ষা গেল
শরৎ এলো মাত্র,
এরই মধ্যে শুভ্র-কাশে
ভরলো তোমার গাত্র।
ক্ষেতের আলে, নদীর কূলে
পুকুরের ঐ পাড়টায়,
হঠাৎ দেখি কাশ ফুটেছে
বাঁশবনের ঐ ধারটায়!
আকাশ থেকে মুখ নামিয়ে
মাটির দিকে নুয়ে,
দেখি ভোরের বাতাসে কাশ
দুলছে মাটি ছুঁয়ে।
কিন্তু কখন ফুটেছে তা
কেউ পারে না বলতে,
সবাই শুধু থমকে দাঁড়ায়
গাঁয়ের পথে চলতে।
পুচ্ছ তোলা পাখির মতো
কাশবনে এক কন্যে,
তুলছে কাশের ময়ূর-চূড়া
কালো খোঁপার জন্যে।
যেন শরত-রানী কাশের
বোরখাখানি খুলে,
কাশবনের ঐ আড়াল থেকে
নাচছে দুলে-দুলে।
প্রথম কবে ফুটেছে কাশ
সেই শুধু তা জানে,
তাই তো সে তা সবার আগে
খোঁপায় বেঁধে আনে।
ইচ্ছে করে ডেকে বলি:
‘ওগো কাশের মেয়ে,
আজকে আমার চোখ জুড়ালো
তোমার দেখা পেয়ে।
তোমার হাতে বন্দী আমার
ভালোবাসার কাশ,
তাই তো আমি এই শরতে
তোমার ক্রীতদাস।’
ভালোবাসার কাব্য শুনে
কাশ ঝরেছে যেই,
দেখি আমার শরত-রানী
কাশবনের আর নেই।
~নির্মলেন্দু গুণ
ভেবেছিলাম প্রথম যেদিন
ফুটবে তুমি দেখব,
তোমার পুষ্প-বনের গাঁথা
মনের মতো লেখব।
তখন কালো কাজল মেঘ তো
ব্যস্ত ছিল ছুটতে,
ভেবেছিলাম আরো ক’দিন
যাবে তোমার ফুটতে।
সবে তা এই বর্ষা গেল
শরৎ এলো মাত্র,
এরই মধ্যে শুভ্র-কাশে
ভরলো তোমার গাত্র।
ক্ষেতের আলে, নদীর কূলে
পুকুরের ঐ পাড়টায়,
হঠাৎ দেখি কাশ ফুটেছে
বাঁশবনের ঐ ধারটায়!
আকাশ থেকে মুখ নামিয়ে
মাটির দিকে নুয়ে,
দেখি ভোরের বাতাসে কাশ
দুলছে মাটি ছুঁয়ে।
কিন্তু কখন ফুটেছে তা
কেউ পারে না বলতে,
সবাই শুধু থমকে দাঁড়ায়
গাঁয়ের পথে চলতে।
পুচ্ছ তোলা পাখির মতো
কাশবনে এক কন্যে,
তুলছে কাশের ময়ূর-চূড়া
কালো খোঁপার জন্যে।
যেন শরত-রানী কাশের
বোরখাখানি খুলে,
কাশবনের ঐ আড়াল থেকে
নাচছে দুলে-দুলে।
প্রথম কবে ফুটেছে কাশ
সেই শুধু তা জানে,
তাই তো সে তা সবার আগে
খোঁপায় বেঁধে আনে।
ইচ্ছে করে ডেকে বলি:
‘ওগো কাশের মেয়ে,
আজকে আমার চোখ জুড়ালো
তোমার দেখা পেয়ে।
তোমার হাতে বন্দী আমার
ভালোবাসার কাশ,
তাই তো আমি এই শরতে
তোমার ক্রীতদাস।’
ভালোবাসার কাব্য শুনে
কাশ ঝরেছে যেই,
দেখি আমার শরত-রানী
কাশবনের আর নেই।
No comments:
Post a Comment